টপোলজি কাকে বলে।টপোলজি কতপ্রকার ও কি কি ?

টপোলজি কাকে বলে বা টপোলজি কী কত প্রকার যদি আপনারা জানতে চান তাহলে আর্টিকেল টি পুরোটা  পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন।

টপোলজি কথাটা সাধারণ অর্থে বললে দুই এর বেশি বিশেষ কোন মাধ্যম (অপটিক্যাল ফাইবার, সেটালাইট)দ্বারা সংযোগ ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে

কম্পিউটার যুক্ত হয়ে তথ্য(টেক্সট, ডকুমেন্ট,ইমেজ ) আদান প্রদান করে।

সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার কে node বলা হয়।

আর এর যদি সঙ্গা রূপে উত্তর দিতে যাই তাহলে

কেবল তার,অপটিক্যাল ফাইবার বা অন্য কোন মাধ্যম দ্বারা নেটওয়ার্ক এ সংযুক্ত দুই বা ততোধিক কম্পিউটার যে ফিজিক্যাল structure বা জ্যামিতিক বিন্যাস তৈরি করে,  তাকে “নেটওয়ার্ক টপোলজি বা টপগণিত বলে

Network topology কে অবস্থান ভিত্তিতে  সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

i. Physical topology

ii.logical topology

এবারে নিশ্চই তোমাদের কিছু টা ধারণা হয়ে গেছে তো এবারে আমরা জানবো টপো লজি এর কিছু ভাগ এর ব্যাপারে

টপোগণিত  কে সাধারণত   ভাবে ভাগ করা যায়।

  1. বাস টপোগণিত  বা Bus topology
  2. রিং টপোগোনিত বা ring topology
  3. স্টার টপোগণিত বা star topology
  4. মেষ টপোগণীত বা mesh topology
  5. ট্রি টপোগণিত বা tree topology
  6. হাইব্রিড টপোগণিত বা hybrid topology

প্রত্যেক টা Topology ই নেটওয়ার্ক সিস্টেম এর সঙ্গে অঙ্গাঙিক ভাবে জড়িত তাই প্রত্যেক টা মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে

আপনার নিশ্চই নেটওয়ার্ক  topology সম্পর্কে বিষদে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- 

Table of Contents

১. বাস টপোলজি (bus topology) কাকে বলে

বাস নেটওয়ার্ক নকশা হচ্ছে সবচেয়ে সোজা একটি ব্যাবস্থা। যা একটি দীর্ঘ  লম্বা কেবলের সঙ্গে প্রতিটি কম্পিউটার এর সঙ্গে অ্যাড থাকে।

এই সিস্টেম এ মূল বা দীর্ঘ কেবল টি কে বলা হয় বাস ।

এই নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থায় কম্পিউটার সাধারণত একটি দীর্ঘ কেবল এর সঙ্গে তারের মাধ্যমে যুক্ত থেকে যন্ত্রের সঙ্গে সরা সরি যুক্ত থাকে।

এটি সাধারণত “পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক” এর উদাহরণ।

Bus topology
Bus topology

এই টপো লজি ব্যাবহার এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে যেমন।

সুবিধা:-

  • নিরাপদ :- এই topology তে  খুবই নিরাপদে আমরা ডাটা বা তথ্য প্রেরণ করতে পারি ।
  • ছোট দৈর্ঘ্যের তার :-  একটি সাধারণ data path সব node কে যুক্ত করে তাই ছোট দৈর্ঘ্যের কেবল এ প্রয়োজন মিটে যায়।
  • সরল নকশা :- এই কেবল টি ছোট খাটো কারণ এর ছোট খাটো নেটওয়ার্ক তাই অতিরিক্ত জটিল না।
  •  ম্যানেজ করা সহজ :- এটি ছোট খাটো নেটওয়ার্ক হওয়ার জন্য এটি ম্যানেজ করা খুবই সহজ প্রকৃতির।

অসুবিধা :- 

  • ভুল খোঁজার অসুবিধা :- এই ব্যাবস্থায় ভুল খোঁজা খুবই কঠিন কারণ নেটওয়ার্ক টি ছোট হলেও এর কোনো মেন মেশিন বা হাব এর মত কিছু থাকে না তাই এটি খারাপ হলে প্রতিটি পয়েন্ট খুঁটিয়ে দেখতে হয়।
  • মাল্টিপল তথ্য প্রেরণ অসম্ভব :-  এই টপো লজি তে এক সঙ্গে তথ্য প্রেরণ সম্ভব না কারন একই সময় প্রত্যেক টা কম্পিউটার থেকে তথ্য প্রেরণ করলে অসুবিধার সৃষ্টি হবে।

২. রিং টপো লজী (ring topology)

এই টপো লজি তে মেশিন গুলি রিং এর মত বা একটা লুপের মত দেখতে।

এই সিস্টেম টি একটি চক্র এর মত চলতে থাকে প্রথম থেকে দ্বিতীয় দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় এই ভাবে পর্যায় ক্রমিক ভাবে চলতে থাকে।

এটি একটি LAN network  এর উদাহরণ যার কোন মেন হোস্ট থাকেনা ।

এই ব্যাবস্থায় node (computer) গুলি একটি মাত্র কেবল এর সঙ্গে পরস্পর এর সঙ্গে একটি রিং আকৃতির মত যুক্ত থাকে।

Ring-topology
Ring-topology

এই টপ গণিত এর ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে।

সুবিধা :-

  • তার ছোট :- এই সিস্টেম এ কম্পিউটার গুলি পয়েন্ট বাই পয়েন্ট যুক্ত থাকে তাই এতে কেবল এর সংখ্যা যথেষ্ট কম।
  • অবস্থানের ভিত্তিতে:- কম জায়গায় এটি কার্য কারি হয়ে যায়।
  • হাই স্পিড :- এটি তে ব্যাবহৃত “অপটিক্যাল ফাইবার “থাকার জন্য এটি দ্রুত গতি তে কাজ করে,এবং কোন ডাটা তাড়াতাড়ি প্রেরণ করা যায়।
  • সার্ভার :- এই topology তে সার্ভার এর প্রয়জনীয়তা নেই।
  • সিকিউরিটি সেটিসফেকশন :- তথ্য খুব safley প্রেরিত হয়।
  • Manage :- এই টপোগোনিত ম্যানেজ করা সোজা।

অসুবিধা :-

  • কম তথ্য প্রেরণ ক্ষমতা :- তথ্য প্রেরণ এর হার যথেষ্ট কম।
  • প্রভাবিত করার ক্ষমতা :- কোন একটি node আর একটি node কে প্রভাবিত করে।
  • Node সরিয়ে নেওয়ার প্রভাব :- কোন একটি node সরিয়ে নিলে প্রভাবে টা পূর নেটওয়ার্ক এর উপর পড়ে।

৩. স্টার টপোলজি ( star topology )

এই টপো লজি তে সব কম্পিউটার গুলি একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার (হাব)এ যুক্ত হয়ে একটা তারার আকৃতি ধারণ করে তাই একে স্টার topology বলা হয়।

star-topology
star-topology

সুবিধা :-

  • তথ্য গ্রহন :- কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সঙ্গে node গুলো যুক্ত থাকে তাই তথ্য গ্রহন ইজি।
  • ভূল সংশোধন :- এই সিস্টেম এ ভুল সংশোধন  সোজা।
  • Node এর প্রভাব :- যেকোন একটি nod e খারাপ হয়ে গেলে পূর নেটওয়ার্ক সিস্টেম এর প্রভাব পড়েনি।
  • তথ্য প্রেরণ বেশি হয় :- এই topology তে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় হাব থাকার কারণে তথ্য একই জায়গায় জমা হয়।
  • টাইম sharing :– এই ব্যাবস্থায় একই সময় অনেক তথ্য পাঠানো যায়।
  • রিকভার :- কোন একটি মেশিন খারাপ হলে সহজে চিনিহিত করা যায়। কারণ কেন্দ্রীয় মেশিন টি থাকে।তাই যদি কোন সিস্টেম খারাপ হয় তাহলে সেটা পরিবর্তন করা নাহলে পুরো কেন্দ্রীয় সিস্টেম টা চেঞ্জ করা হয়।

অসুবিধা :-

  • Long distance :-  node গুলির যদি দুরত্ব বেশি হয় তাহলে কর্যখমতা হ্রাস পায় ও খরচ বৃদ্ধি পায়।
  • দীর্ঘ কেবল :- যেহেতু এই ব্যাবস্থায় একটি কেন্দ্রীয় হাব থাকে তাই প্রত্যেক টি মেশিন এর সঙ্গে হাব এ যুক্ত করতে হয় তাই দীর্ঘ তার প্রয়োজন হয় ,তাই খরচ ও বাড়ে।
  • প্রধান সিস্টেম এর উপর নির্ভরতা :-  যেহেতু পূর সিস্টম টা হাব এর উপর নির্ভশীল তাই হাব খারাপ হলে পূর নেটওয়ার্ক টি অকেজো হয়ে পড়বে।
মেশ টপোলজি ( mesh topology ) কাকে বলে

জাল  অর্থাৎ মেশ।এই topology তে প্রতিটি  node এর সঙ্গে প্রতিটি পয়েন্ট টু

পয়েন্ট সুকৌশলে  যুক্ত থাকে তাই একে মেশ টপো লজি বলা হয়।

Mesh Topology
Mesh Topology

সুবিধা :-

  • তথ্য প্রেরণ :- তথ্য প্রেরণ এর হার যথেষ্ট বেশি।
  • সিকিউরিটি :- নিরাপদে তথ্য প্রেরণ করা যায়।
  • ত্রুটি সংশোধন :- ভুল সংশোধন সহজ,সহজে অসুবিধা চিনে নেওয়া যায় ও সংশোধন করা যায়।
  • অনেক মাধ্যম :- একাধিক  পথ থাকার কারণে অনেক বেশি দক্ষ।

অসুবিধা :-

অর্থনৈতিক :- খরচ যথেষ্ট বেশি।

রিকভার :- এটি রিকভার করা অনেক বেশি কষ্ট সাধ্য।

প্রতিষ্ঠা :- প্রতিটি node প্রতিটি এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তুলনামূলক ভাবে প্রতিস্থাপন অনেক কষ্টকর।

ট্রি টপো লজি (tree topology)

গাছের (ট্রি) মত যুক্ত থাকে বলে একে ট্রি topology বলা হয়।এই নেটওয়ার্ক এ নোড গুলি পর পর অবস্থান করে।

ফার্স্ট স্টেপ এর মেশিন টি সার্ভার এর কাজ করে। এই নেটওয়ার্ক এর আর এক নাম Hierarchical network.

ট্রি টপো লজি (tree topology)
ট্রি টপো লজি (tree topology)

সুবিধা :-

  • ছোট বা বড় করে ব্যাবহার :- টপো লজি বিভিন্ন শাখায় ভাগ করা আছে। নোড সংযুক্ত করা সহজ।
  • সংশোধন :- ভুল সংশোধন সরল।
  • বিভক্ত :- সম্পূর্ণ structure কে বিচ্ছিন্ন ও জোড়া যথেষ্ট সহজ।
  • সহজ :- এর বিস্তৃতি অনেক টাই সহজ ভাবে করা যায়।

অসুবিধা :-

Network structure :- network কাঠামো অনেক টাই জটিল।

Security :- তথ্য প্রেরণ এর দক্ষতা হ্রাস পাওয়ায় নিরাপত্তা দুর্বল।

কেন্দ্রীয় মেশিনের ওপর নির্ভরতা :- প্রধান মেশিন টি খারাপ হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্ক টি অকেজো হয়ে পড়ে।

হাইব্রিড টপো লজি  ( hybrid topology )

এই টপোলজি টি অনেক ধরনের টপো লজি নিয়ে গঠিত।এটি অনেক ধরনের topology সাধারনত বাস, রিং,স্টার টপো লজি নিয়ে গঠিত হয়।

এই নেটওয়ার্ক এ সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যায় ,অনেক network নিয়ে গঠিত হওয়ার ফলে hybrid topology বলা হয়।

সুবিধা :-

  • ডাটা প্রেরণ :- অনেক ধরনের topology থাকার ফলে এটি তথ্য প্রেরণ অনেক দ্রুত।
  • ত্রুটি :- ত্রুটি সংশোধন অনেক সোজা।
  • রিকভার :- রিকভার বা পুনঃ স্থাপন করা সহজ।
  • Node যুক্তি করন :-
  • স্টার ও রিং এ নতুন node যুক্ত করা অনেক সোজা।

অসুবিধা :-

  • স্থাপন :- নেটওয়ার্ক স্থাপন অনেক জটিল।
  • ব্যায় সাপেক্ষ :- এই নেটওয়ার্ক অনেক খরচ সাপেক্ষ
  • Construction :- অনেক ভাবনা চিন্তা করে এই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে হয়।
শেষ মর্ম ও শেষ কথা

আশাকরি টপোলজি কাকে বলে সেটা আপনাদের বোঝাতে পেরেছি।আমি আমার অভিজ্ঞতা র  পুরোটা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করার ইচ্ছে নিয়ে আর্টিকেল টি পাবলিশ করেছি তাই যদি আর্টিকেল টি ভালো লাগে তাহলে share করবেন ও কমেন্ট করে জানাবেন

আপনাদের একটা কমেন্ট আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনারা নিশ্চই জানেন codexhui.com আপনার মতামত কে গুরুত্ব দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *