প্রসেসর কিভাবে তৈরি হয়।প্রসেসর কী ? how processors are made | what is processor

প্রসেসর কিভাবে তৈরি হয়।( How to make a processor ) হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করবো কিভাবে একটি প্রসেসর তৈরি হয় আপনারা এতদিন শুনে এসেছেন প্রসেসর কী এবং কিভাবে কাজ করে।

কিন্তূ কিভাবে তৈরী হয় এই ব্যাপারে বাংলায় হাতে গুনে ২-৩ টাই আর্টিকেল পাবেন।

যাই হোক তাহলে জানা যাক কিভাবে একটি প্রসেসর তৈরি করা হয়।

Table of Contents

 প্রসেসর কাকে বলে ?

বন্ধুরা প্রসেসর কিভাবে প্রসেসর তৈরি হয় তার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে কম্পিউটার এর বেসিক কিছু ফ্যাক্ট গুলো

যেমন – প্রসেসর কাকে বলে (what is processor) ?

প্রসেসের হোল এক সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট যা কমপিউটারের দেওয়া এক গুচ্ছ প্রোগ্রাম কে গ্রহন করে এবং এই

ইনস্ট্রাকশন গুলিকে বিভিন্ন্ গাণিতিক, যৌক্তিক কার্যাবলী এবং বিভিন্ন  ইনপুট ও আউটপুট কার্যাবলী কে সম্পাদনা করে।

কয়েকটি প্রচলিত ও নামে প্রসেসর সংস্থার নাম হোল – ইন্টেলএএমডিকোয়ালকম, মটরওয়ালা, স্যামসাং, আইবিএম ইত্যাদি ।

প্রসেসর এ কয়টি অংশ থাকে ?

  •  নিয়ন্ত্রিত অংশ (control unit)
  • গাণিতিক ও যুক্তি অংশ (Arethemetic & logic  unit)
  • রেজিষ্টার সমূহ(Regis)

 কিভাবে প্রসেসর গঠন হয় ?

প্রসেসর সাধারনত একটি বেসিক সলিকন চিপ এটা সাধারনত সেমি কন্ডাক্ট নেচার এর এলিমেন্ট।কন্ডাক্টার কাকে বলে ?

কন্ডাক্টার আমরা সেইসব জিনিস কে বলে থাকি যেটা  তে বিদ্যুৎ সহজে পাস হয়।

সিলিকন দিয়ে তো ইলেক্ট্রিসিটি পাস হয় কিন্তূ কতটা কিরকম ও কখন ইলেক্ট্রিসিটি পাস হবে সেটি আমরা সহজেই নির্ধারণ করতে পারবে।

এর জন্যে সিলিকন কে সেমি কন্ডাক্টার নেচার এর এলিমেন্ট বলা হয়ে থাকে, তো তো প্রসেসর বানানোর জন্যে,

প্রথমে, বালিকে ১০০০°-২০০০° সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় গরম করে সিলিকন গুলিকে ছোটো ছোট ক্রিস্টাল রূপে বের করা হয়

তারপর আবার ওই সিলিকন গুলোকে গরম করে কেমিক্যাল এর special treatment দিয়ে সিলিকন এর একটি সিলিন্ডার বানানো হয়।

এই সিলিকন সিলিন্ডার টির  ওজন মোটা মুটি ১৫০-২০০ কেজি পর্যন্ত হয় ।

এই সলিড সিলিকন এর সিলিন্ডার টি ১০০% pure সিলিকন ই থাকে টা সত্বেও এটাকে x-ray এবং অন্যান্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পাস করতে হয় এবং তার সঙ্গে দেখে নিতে হয় এতে ১০০%  pure সিলিকন আছে কিনা।

প্রসেসরের fabrication process

যদি সিলিকন সিলিন্ডার টি ১০০%  শুদ্ধ থাকে তাহলে  এটাকে পাতলা পাতলা করে কাটা হয় যেটাকে বলা হয় ওয়েফার্ম তারপরে আবার এটাকে ভালো করে স্মুদ করে নেওয়া হয়।

এর ঠিক পরেই শুরু হয় ফেব্রিকেশন প্রসেস এই প্রসেস এ ওয়েফার্স এর উপরে লক্ষ্য লক্ষ্য ট্রানজিস্টর বানানো হয়।

এই কাজ টা করার জন্যে অর্থাৎ এই প্রসেসর গুলো বানানোর জন্যে একটা ব্লু প্রিন্ট বানানো হয়।

যেই ফ্যাক্টরি গুলোতে এই প্রসেসর এর চিপ গুলি বানানো হয়,সেই ফ্যাক্টরি গুলি বিশ্বের সবচেয়ে ক্লিন জায়গা গুলির মধ্যে একটা হয়।

কারণ, একটা নখের মত চিপ এ লক্ষ লক্ষ্য ট্রানজিস্টর বানানো হয় তাই জায়গা টা পরিষ্কার না থাকলে একটা ধুলোর গুঁড়ো ও পুর চিপ টি কে নষ্ট করে দিতে পারে

এবং সার্কিট গুলোকে ও নষ্ট করে দিতে পারে এবং এর শেষে শুরু হয় wefer গুলির চিপ এ পরিবর্তিত হওয়ার পদ্ধতি।

এই  Wefer গুলোর ওপর সিলিকন ডাই অক্সাইড এর একটা পরদ দেওয়া হয়।

এর পরে এতে ফটো সেনসেটিভ chemical এর পরদ জড়ানো হয়, এই ফটো এর পদ্ধতি কে ফটো লিথো গ্রাফি বলা হয়।

প্রোগ্রামিং ভাষা কি বা কেনো শিখবো

প্রসেসর এর ডিজাইন এর প্রসেস শুরু হয়

তার পর যে design টি তৈরি হযে ছিল সেই ডিজাইন টি এই wefer গুলো তে  চড়ানো হয়।

এই পাদ্ধতি টি আল্ট্রা  violet লাইটের দ্বারা করা হয় অর্থাৎ ওই ডিজাইন যুক্ত টেম্পল টির ওপর আল্ট্রা  violetr রশ্মি পাশ করা হয়

এই রশ্মি প্রয়োগ করার সময় নীচে এক লেন্স প্রয়োগ করা হয় য়ার দ্বারা লাইট টি তারা ভাবে প্রলেপ এর পড়ো রাতে এর যেখানে যেখানে ultra violet রশ্মি পড়ে

সেটার ফটো রেসিস্ট metarial একদম সলিউবাল হয়ে যায় এবং যেটাতে uv রশ্মি পরে না সেটা সলিড হয়ে থেকে যায়

এবারে এই wefers গুলো কে একটি সলিভেন্ট  এ ডোবানো হয় যাতে যেখানে

সলভেন্ট ফটো রেজিস্টেন্ট মেটেরিয়াল থাকে সেটি একদম ধুয়ে বেরিয়ে যায় ।

এবং যেটা হার্ড অংশ টা থাকে সেটাই শুধু  থেকে যায়, এই পরদ টা সরে গেলেই

ট্রানজিস্টর এর যে wering টা থাকে সেটা দেখা যায়।

কম্পিউটার মেমরি কী ?মেমরি কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

তারপর আবার ফটো রেজিস্টেন্ট মেটেরিয়াল এর পড়দ জড়ানো হয়।তার পরেই uv রশ্মি প্রয়োগ করে আবার ধোয়ার প্রসেস প্রয়োগ করা হয়

প্রসেসর বানানোর জন্যে ডোপিং প্রসেস শুরু হয়

এর ঠিক পরেই শুরু হয় ডোপিং প্রসেস শুরু হয় যেখানে সিলিকন এর ওপর আয়ন প্লান্ট করা হয়

যার ফলে ট্রানজিস্টর গুলির মধ্যে ইলেকট্রন এর ফ্লো কন্ট্রোল করা যায়।

এই ডোপিং প্রসেস এরপর আবার ফটোরেসিস্ট লেয়ার কে সরানো হয়,এর ওপর তামার লেয়ার জড়ানো হয়।

এরপর ডিজাইন অনুসারে চিপ এর ভেতরে ট্রানজিস্টর এর Weiring করা হয় এইসব কাজ একদম মাইক্রোস্কপিক লেভেল এ করা হয়

তাই এইসব  আপনি আপনার চোখে দিয়ে দেখা সম্ভব নয় এই পাতলা চিপগুলোর  ভেতরে ৯-১০ লেয়ার এর ওয়ারিং থাকে এবং একদম শেষে ওয়েফার গুলো থেকে চিপ গুলি কেটে আলাদা করে নেওয়া হয়।

শেষকথা ও সারমর্ম

বন্ধুরা প্রসেস তৈরির পদ্ধতি টি খুবই জটিল এবং এই জটিল পদ্ধতি থেকে সাধারণ একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি

যদি আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক ও কমেন্ট করবেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে share করবেন।

যদি কিছু ভুল থাকে বা আপনার কিছু বলার বা জিজ্ঞাসা করার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান,কারণ

😎codexhui.com আপনার মতামত কে গুরুত্ব দেয় 🥰।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *