কম্পিউটার মেমরি কী ?মেমরি কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী | what is computer memory? what are the types and types of memory?

কম্পিউটার মেমরি কী ?মেমোরি কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী ? মেমোরি কিভাবে কাজ করে আশাকরি এই আর্টিকেল momory সম্বন্ধে আপনার প্রায় ডাউট ই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

বর্তমান দিনে কম্পিউটার মেমোরি এর গুরুত্ব অপরিসীম।কারণ বিভিন্ন প্রকারের  তথ্য এখানে (0,1)বাইনারি সংখ্যার সমবায়ে সেভ করে রাখা হয়।

এই মেমোরি তে কত গুলি সৃতি কোষ থাকে আবার এই সৃতী কোষ গুলি আবার  কতগুলি  কোষর
সমষ্টি,

আবার এই স্রিতি কোষ গুলি কতগুলো বিট এর সমষ্টি।যা বিভিন্ন  কম্পিউটার এ বিভিন্ন্ ভাবে ব্যাবহার হয়ে থাকে।

Table of Contents

কম্পিউটার মেমরি কী ?

মেমোরির গুরুত্ব- প্রত্যেকটি কম্পিউটারেই মেমোরির প্রয়জন আছে টা না হলে কম্পিউটার কোনদিনই চলতে পারেন,কারণ

কম্পিউটার মেমরী তে আগে থেকেই ডাটা বা তথ্যগুলি সংরক্ষণ থাকে এবং যখন কোন প্রোগ্রাম চালানো হয় তখন মেমরি তে সেই প্রোগ্রাম টি থাকা অবশ্যই জরুরি।

আবার এই প্রোগ্রাম চলাকালীন প্রোগ্রাম রুপি তথ্য গুলি মেমরি তে জমা হয়।

কম্পিউটার মেমরি –  কম্পিউটার  এর যে অংশ বা ভাগ স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে ডাটা বা তথ্য (বাইনারী সংখ্যার রূপে ) সঞ্চয় করে রাখে তাকে বলে কম্পিউটার মেমরি।

উদাহরণ – রেম,রোম, ডিভিডি,সিডি প্রভিতি।

মেমোরি বা স্মৃতির কাজ কী ?

I. ডাটা সংরক্ষণ বা সংগ্রহ – মেমরি বিভিন্ন তথ্য বা ডাটা কে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করে।

II. রেজাল্ট সেভ করা :-  মেমরি তার কাজ অর্থাৎ কাউন্টিং এর পর ফলাফল বা রেজাল্ট গুলোকে সঞ্চয় করে রাখে।

III.CPU এর প্রসেসিং এ সহায়তা – মেমরি আগে থেকেই সমস্ত তথ্য সঞ্চয় করে রাখে তাই প্রসেসিং এর সময় মেমরি ইউজার এর নির্দেশ ডাটা ব্যাবহার করে।

মেমোরি কয় প্রকার ও কী কী বলে

মেমোরি কাকে বলে

কম্পিউটারে মেমরি সাধারণত তিন প্রকারের হয় যথা-

১.প্রাইমারী মেমরি (primary Memory)

২. সেকেন্ডারি মেমরি (Secondary Memory)

৩. কেসে মেমরি(cahe Memory)

এই তিনটি মেমরি কে আবার বিভিন্ন উপাসাখায়  ভাগ করা হয়,

প্রাইমারি  কম্পিউটার মেমরি কী ও প্রাইমারি মেমরি কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা -i.RAM ii.ROM

আবার রেম কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

I.Sram

II.Dram                                     

এবং রম কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।       

I.Prom

II. Erom

III. EEPROM             

সেকেন্ডারী মেমরী  কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা

 I.ম্যাগনেটিক স্টোরেজ মিডিয়া 

II. অপটিক্যাল স্টোরেজ মিডিয়া

 ম্যাগনেটিক স্টোরেজ মিডিয়া কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা

I. ম্যাগনেটিক টেপস II.ম্যাগনেটিক ডিস্ক

প্রাইমারি বা মেন মেমরি কাকে বলে ?

যেসব মেমরি CPU-এর সাথে ডাইরেক্টলি যুক্ত এবং ডেটা বা তথ্য অস্থায়ী ভাবে জমা রাখে তাকে মুখ্য বা প্রাইমারি মেমরি বলে।

 প্রাইমারি মেমরি  সেমিকন্ডাকটর মেমরি নামেও পরিচিত। কারণ এই মেমরি CPU এর গতি ঠিক করতে সেমিকন্ডাকটর ডিভাইস ব্যবহার করে।

মেমোরি হল কতকগুলি বিটের সমন্নয় মেমরির স্টোরেজ পাওয়ার সাধারণত বাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট ইত্যাদি দিয়ে বলা হয়।

 নীচে এদের মধ্যে সম্পর্ক গুলি দেওয়া হোল –

  1. এক নিবল- 4 বিট
  2. 1 বাইট- 8 বিট
  3. এক কিলােবাইট (KB) – 210= 1024
  4. 1 মেগাবাইট – 210*210=1,048,576
  5. ওয়ান গিগাবাইট – 210*1mb =210*210*210 = 1,073,741,824 বাইট।
  6. 1 টেরাবাইট – 210* 1 গিগাবাইট = 1,009,511,627,776

প্রাইমারি মেমরি স্পিডি এবং এই মেমরির ভিতর সিস্টেম সফটওয়্যার থাকে যেটা ইউজারদের  প্রোগ্রাম চালাতে হেল্প করে।

যে মেমরি থেকে সঞ্চিত তথ্য কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করে দেওয়ার পর মুছে যায়, তাকে উদ্বায়ী মেমোরি বলা হয়।

যে মেমোরি থেকে সঞ্চিত তথ্য মুছে যায় না, তাকে অনুদ্যই  স্রিতি (Non-volatile Memory) বলে।

Definition:-  যে মেমোরি কম্পিউটারের একটি প্রধান অংশ এবং যা সিপিইউ এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত এবং তথ্যগুলি অস্থায়ী বা অনুস্থায়ী  ভাবে জমা করে রাখে তাকে প্রাইমারি বলে।

প্রাইমারি মেমরি কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা।  -i.RAM( র‌্যাম) ii.ROM (রম)

নেটওয়ার্ক যন্ত্র কাকে বলে

 I. র‌্যাম কাকে বলে ?

সিলিকন পদার্থের চিপ দিয়ে তৈরি এক ধরনের স্মৃতি, যেখানে ডাটা সেভ
করে রাখা যায় এবং সেই তথ্য গুলি কাজ করার পর মুছেও ফেলা যায়, একে র‌্যাম বলে।
কম্পিউটারের  লক্ষ্য লক্ষ্য স্মৃতিকোশের যে-কোনো একটি কোশ থেকে তথ্য আনতে একই সময় লাগে বলে একে রেন্ডম অ্যাকসেস মেমরী বলে (Random Access Memory)।

Features of RAM –

1. ইউজার এর দেওয়া   সমস্তরকম কাজের জন্য কম্পিউটার এই RAM ব্যবহার করে।
2. কম্পিউটারের সুইচ অফ করে দিল সমস্ত ডাটা মুছে যায়। তাই একে উদ্বায়ী (Volatle) মেমোরি বলে।

রেম কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় –
I. স্ট্যাটিক র‌্যাম II. ডায়নামিক র‌্যাম

  • স্ট্যাটিক র‌্যাম

এই র‌্যাম বাইপােল সেমিকন্ডাক্টর-এর ভিত্তিতে গঠিত পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারে যতক্ষণ পর্যত্ত
বিদ্যুৎ সংযােগ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তথ্যগুলি থাকে।

এটিকে রিফ্রেশ করার প্রয়ােজন হয় না। SRAM, DRAM-এর থেকে দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং দামি। এটির সঞ্য় ক্ষমতা কম কিন্তু কার্যক্ষমতা বেশি।

SRAM ও আবার  দু-ধরনের ;
Asyn chrono us SRAM (ASRAM) ও Burst SRAM (BSRAM) I

  •  ডায়নামিক  র‌্যাম(DRAM)

এই র‌্যাম  M0SFET ট্রানজিস্টর গেট দিয়ে তৈরি এবং নি্দিষ্ট সময় অন্তর এই র্যামকে রিচার্জ করতে হয়।

এজন্য এটি SRAM-এর তুলনায় ধীরগতিসম্পন্ন। আবার এই র্যাম SRAM-এর তুলনায় সস্তা। ডায়নামিক র‌্যাম রিফ্রেস করতে  হয় না।

কম্পিউটারে যেসমস্ত  র‌্যাম ব্যবহৃত হয় তাদের অধিকাংশই এর দ্বারা গঠিত।

II. রম(Rom) কাকে বলে ?

এই মেমোরি এর পুরো কথাটি হল Read Only Memory। এই মেমরি সার্কিটের ওপর নির্ভর করে তৈরি।

মেমোরি নির্দেশ গুলি সেভ রাখার জন্য লজিক গট (Logic Gate) ব্যবহার করে । এর ফলে এই মেমরির  সঞ্চিত তথ্য মুছে যায় না ( কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করলেও নয়)।

তাই একে অনুদ্বায়ী (Nonvolatlle)মেমরি বলে । রম- এর বিষয়বস্তুর পরিবর্তন করা যায় না, শুধুমাত্র পড়া (Read Only) যায়।

এই স্মৃতিতে আবার নতুন কিছু নির্দেশ সেভ করাও যায় না।
 Features of Rom :-

1.এই মেমরির দ্বারা সঞ্চিত তথ্য মুছে যায় না বলে একে অনুদ্দাই (Non-volatile) মেমরি বলে।

২. এটির ডাটা গুলি শুধু মাত্র পড়া যায়।3.এতে প্রোগ্রাম গুলি স্থাই ভাবে স্টোর করে রাখা থাকে।

4. RAM এর তুলনায় আকারে বড়

5. এটি তথ্য গ্রহণের সময় ram এর  তুলনায় বেশি সময় নেয়।

6.এই মেমরি RAM-এর কর্মদক্ষতা পরীক্ষা করে।

7. কী-বাের্ডের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
8.আউটপুট ডিভাইস পরীক্ষা করতেও এই রম কাজে লাগে।

রমের প্রকারভেদ :- রমকে চারভাগে ভাগ করা হয় এবং সেগুলি হল।

I.PROM (Programmable Read Only Memory) :-  এই ধরনের রোমের চিপ গুলি প্রোগ্রাম করা যায় এবং এর ফলে তথ্যগুলি পরিবর্তন করা যায় না। এটি একটি অনুদ্বাযী মেমরি।

ii.EPROM (Erasable Programmable Read Only Memory):-  এই ধরণের মেমোরিতে প্রোগ্রামের সাহায্যে নতুন তথ্য রেকর্ড করা যায় এবং তথ্য মোছা ও যায়। এজন্যে এই রম  এর EPROM নামকরণ হয়েছে।

iii. EEROM (Electrically Erasable Programmable Read Only Memory):- রম এ ইলেকট্রিক্যাল পালসের সাহায্যে তথ্যগুলি মােছা যায়, আবার পুনরায় প্রোগ্রামও  করা যায়।

iv.(i) UVPROM (Ultraviolet Programmable Read Only Memory):- এই ধরনের আল্ট্রা ভায়ােলেট রশ্মিকে কন্ট্রোল করার জন্য প্রয়ােজনীয় নির্দেশ দিয়ে ব্যবহার করা হয়।

গৌন স্মৃতি বা secondary memory কাকে বলে ?

 secondary কম্পিউটার মেমরি কী ? এই ব্যাপারে আমি আগেই বলেছি মেমোরির আর একটা ভাগ হোল গৌন স্মৃতি।

 আমরা এই পোস্ট টি তে আরও আমার কিছু তথ্য দেবো এবং আর্টিকেল টি তে মেমোরির  আরও কিছু ভাগ নিয়ে আলোচনা করবো। পার্ট ২ আমরা খুব জলদি পাবলিশ করবো

শেষ কথা ও সারমর্ম

আশাকরি কম্পিউটার মেমরি কী ? এই আরটিকেল টি পড়ে বুঝতে পেরেছেন।পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে share করবেন যাতে তারাও এই বিষয়ে knowledge গ্রহণ করতে পারে।

এবং পোস্ট টী তে যদি কিছু ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন।  আপানার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে নিঃসন্দেহ প্রশ্ন করতে পারেন এবং আপনার মূল্যবান  মতামত দিতে পারেন ।কারণ,

😎codexhui.com আপনার মতামত কে গুরুত্ব দেয়।🥰

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *