অ্যাপ কিভাবে বানায় ? প্রশ্ন টা প্রত্যেক টা স্মার্ট ফোন ইউজার এর মনে একবার না একবার আসে।
তার মধ্যে যারা একটু বেশি কৌতুহল থাকে তারা নিশ্চই এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ করে যেমন আপনি।
আর আপনাদের এই টাও জানিয়ে রাখি যে অ্যাপ তৈরী করে আপনারা টাকা আয় করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি অ্যাপ ডেভলপমেন্ট কে একটু সিরিয়াস ও সচেতন ভাবে গ্রহন করেন
তাহলে আপনার অনলাইন earn এর পথ টাও বেশ সহজ হয়ে যায়।
তাই যদি আপাদের কোডিং এর knowledge নাও থাকে তাহলেও কিন্তূ অ্যাপ বানাতে পারবেন।
এবং আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে একটু বিশিষ্ট ও উঠবেন কারণ
অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এর পথ টা খুব একটা সহজ তেমন কিন্তু না।
আপনারা নিশ্চই জানেন যে যেকোন জিনিস ই খুব একটা সহজ না।
কিন্তূ চিন্তা করবেন না আজ আমার এই আর্টিকেল এ আপনি এই অ্যাপ বা অ্যাপ্লিকেশন
এর ব্যাপারে সব কিছুই সহজ সরল ও বিস্তারে জানতে পারবেন।
Table of Contents
l.অ্যাপ কিভাবে বানায় ?
আসলে অ্যাপ বানানোর বিভিন্ন পদ্ধতি থাকে যেমন আপনি Android studio তে
java এর মত হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে অ্যাপ বানাতে পারেন।
কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও তে অ্যাপ devlop করতে কোডিং বা প্রোগ্রামিং এর knowledge বা জ্ঞান আপনার থাকা খুবই জরুরি।
ও তার সঙ্গে আপনার কিছু হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন জাভা,php,SQL,kotlin জানা খুব ই জরুরি এবং আমি একজন
ডেভলপার হিসেবে বলছি যে java ও kotlin খুব ই জরুরি কারণ এগুলো খুবই জরুরি আর এগুলো হোল Android ডেভলপমন্ট এর অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ।
আপনারা যদি অ্যান্ড্রয়েড devloping করতে চান তাহলে আমাদের ব্লগ এ আরও অনেক আর্টিক্যাল আছে যেগুলো আপনারা দেখতে পারেন।
আর আমরা আপকামিং কিছু আর্টিকেল অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও সম্বন্ধে পূর কোর্স আপনাদের সামনে ফ্রি তে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
কিন্তূ যারা একে বারেই প্রোগ্রামিং সম্বন্ধে জ্ঞান নেই তারা ও খুব সহজে অ্যাপ বানাতে পারবে।
এমন অনেক ওয়েবসাইট থাকে যারা আগে থেকেই কোডিং করে রাখে এবং আপনাকে শুধু আপনার পছন্দ মত ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে।
এবং কিছু সাধারণ টাস্ক করেই আপনি ৫ মিনিটে একটি অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারবেন।
এবং অ্যাপ টী প্লে স্টোর বা অ্যাপেল স্টোরে পাবলিশ করে টাকা earn করতে পারবেন।
II.অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম
তোমাদের আমি আগেও বলেছি যে অ্যাপ বানানোর অনেক ওয়েব সাইট আছে।
তার মধ্যে সবচেয়ে যেটা জনপ্রিয় সেইটা হোল Apps Geyser.com এই ওয়েব সাইট টির সহজ ইউজার ইন্টাফেস দ্বারা
আপনি সহজেই অ্যাপ তৈরী করতে পারবেন।
তো এবারে প্রশ্ন হোল অ্যাপ geyser.com এ অ্যাপ কিভাবে বানাবো ? অ্যাপ তৈরি করার জন্য সবচেয়ে
১.আপনাকে আপনার পছন্দ মত ব্রাউজার এ (ক্রোম, ইএনডেক্স,বিং,ইয়াহু) এই সাইটের নাম টি অনুসন্ধান করে নিতে হবে।
তার পর সবচেয়ে ওপরে থাকা লিংক টিতে ক্লিক করে ওয়েবসাইট টী তে ঢুকতে হবে।
২. ওয়েবসাইট টিতে ঢোকার পরে প্রথমেই create app বা create app for free যেকোন একটি অপশন এ ক্লিক করতে হবে।
৩.
I. App geyser app create app
Create app এ ক্লিক করলে আপনি ওপরে দেওয়া ছবি টার মত অপশন দেখতে পাবেন।
এখানে কিছু অ্যাপ এর ক্যাটাগরি দেওয়া থাকে যেগুলোর মধ্যে আপনি যে ধরনের অ্যাপ বানাতে চান সেই টায় ক্লিক করতে হবে।
এখানে অনেক ধরনের ক্যাটাগরি থাকে যেমন আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট এর ওনার হয়ে থাকেন তাহলে ওয়েবসাইট টিকে অ্যাপ এ কনভার্ট করতে পারেন,
এছাড়া বিভিন্ন গেম বানাতে পারেন, বা likee,ইউটিউব,ইমেজ কীবোর্ড বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ আপনার ইচ্ছা মত আপনি বানাতে পারবেন।
III. App geyser এ অ্যাপ তৈরী এর আরও কিছু নিয়ম
৪. উদাহণস্বরূপ আমি আপনাদের দুই ক্যাটাগরী এর অ্যাপ বানিয়ে দেখাচ্ছি
প্রথম ওয়েব সাইট কে অ্যাপ বানিয়ে ও দ্বিতীয় হচ্ছে একটা গেম বানিয়ে।
প্রায় প্রত্যেক টা অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি সমান তাই আমি এই দুটো ক্যাটাগরী দেখলেই আপনি অনায়াসে বুঝতে পারবেন।
৫. তো যেহেতু আমরা প্রথমে একটি ওয়েবসাইট কে অ্যাপ বানাতে যাচ্ছি তাই
Catagory select- আমাদের প্রথমে ওয়েবসাইট ক্যাটাগরী টি সিলেক্ট করে নিতে হবে(উপরের ছবি তে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন)।
Url add– ওই টাতে ক্লিক করলেই আপনি পরের পেজ অর্থাৎ অ্যাপ সেটিং এ redirect হবেন ওখানে url add করার জন্য একটি জায়গা থাকবে সেটি তে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক টি
দিয়ে দেবেন তারপর সেভ অপশন এ ক্লিক করে নেবেন।
৬. সেভ এ ক্লিক করলে আপনি তার পরের পেজ এ চলে যাবেন। ওই পেজ এ গেলে আপনি অনেক গুলি অপশন দেখতে পাবেন।
আপনার অ্যাপ টিকে Customization করার জন্যে কিন্তু সবচেয়ে প্রথমে আপনি যেটা দেখতে পাবেন সেটি হোল
Add feuters – এই অপশন টি তে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া কে আপনার অ্যাপ এর সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন।
এই add ফিচার অপশন টি তে আপনি ৪ টী জিনিস যুক্ত করতে পারবেন ফেসবুক , টুইটার, ইউ টিউব,ব্লগ আপনার যেটা পছন্দ সেটাই চয়েস করুণ।
এর ঠিক নিচেই থাকে আরও একটি ফানশন যুক্ত করার অপশন সেটি হোল।
Select Blog type – এই অপশন টি তে আপনি আপনার ব্লগ টি কোথায় বানিয়ে ছেন সেইটা সিলেক্ট করতে হবে।
ওখানে সাধারণত ৪ টী অপশন থাকবে ওয়ার্ড প্রেস,ব্লগার, টাম্বলার,Pinterest link ও ডাইরেক্ট আরএসএস লিংক
আপনি আপনার পছন্দ মত একটি সিলেক্ট করে নেবেন।
Iv. অ্যাপ গেইজার এর আরও কিছু customization
৭. এর ঠিক নিচেই থাকবে enable push notifications- এটা defult ভাবেই অন থাকে এই টা অন করে রাখলে আপনার অ্যাপ এর মধ্যে
যদি আপডেট করেন তাহলে আপনার সাইট থেকে একটা নোটিফিকেশন যাবে যাঁরা আপনার অ্যাপ টী ইনস্টল করে রেখে ছেন।
Appearance setting – এই অপশন টি তে আপনি colour গুলি সেট করতে পারবেন colour গুলি আগে থেকেই সেট
থাকে আপনি যদি আপনার অ্যাপ এ নিজে থেকে অর্থাৎ ম্যানুয়ালি colour
সিলেক্ট করতে চান তাহলে ম্যানুয়ালি সিলেক্ট করে নিতে পারবেন।
Customize app layout –
II.App geyser layout
Colour সিলেক্ট করার ঠিক পরেই দেখতে পাবেন লে আউট সেটিং টি তে
আপনি আপনার অ্যাপ এর লে আউট সিলেক্ট করে নিতে পারবেন।
উপরের(II নং) ইমেজ এ তিনটি লে আউট দেখতে পাচ্ছেন এই তিনটির মধ্যে যেকোন একটা সিলেক্ট করে নিতে হবে।
এই গুলোর মধ্যে একটি সিলেক্ট করার পর আপনার সামনে next option টী
চলে আসবে নেক্সট করে পরের পেজ এ redirect হয়ে যাবেন।
৮.
App name –
এই পেইজে তে আপনি আপনার অ্যাপ এর নাম টি সিলেক্ট করবেন।
অর্থাৎ আপনি আপনার অ্যাপ যে নাম টি রাখ তে চান সেটি দিতে হবে।আমার ক্ষেত্রে আমি আমার অ্যাপ এর নাম galaxybanglatech দিলাম।
অ্যাপ এর নাম টি দেওয়ার পরে আপনি নেক্সট 🔘 বাটন এ ক্লিক করে পরের পেজ এ তে চলে যাবেন।
9. App icon:-
আপনারা সবাই জানেন যে প্রত্যেক টা অ্যাপ এর ই একটা করে আইকন থাকে
যেমন – ইউ টিউব, ফেসবুক তাই আপনাকে ও আপনার অ্যাপ এর একটা আইকন দিতে হবে।
যদি আপনি defult আইকন রাখতে চান তাহলে অটোমেটিক্যালি defult অপশন থাকবে।
আর যদি নিজে থেকে আপনার অ্যাপ এর আইকন লাগাতে চান তাহলে 512*512 সাইজ এর একটি ছবি সিলেক্ট করতে হবে।
আমার ক্ষেত্রে আমি আমার ওয়েবসাইট এর লোগো টি আমার অ্যাপ এ লাগাবো।
আইকন সিলেক্ট করার পর আবার নেক্সট বাটন আসবে আপনাকে নেক্সট অপশন এ ক্লিক করে পরের পেজ এ চলে যেতে হবে ।
V. অ্যাপ তৈরি করে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন
10. Create – এই পেজ এ আপনারা create বলে একটি বাটন দেখতে পাবেন এখানে ক্লিক করলে কিছুক্ষণ loading হবে।
ঠিক তারপরে এ sign up এর পেজ চলে আসবেন এখানে আপনারা email বা ফেসবুক আইডি দিয়ে sign up করে নিতে হবে।
সাইন আপ করার পর আপনি অ্যাপ গে ইজার এর dash board এ চলে যাবেন।
11. App gyser Dash board
Dashboard টী তে আসার পর আপনি প্রথমে ই নেভিগেশন বার এ আপনার অ্যাপ ডাউনলোড করার অপশন পাবেন।
আপনি ওখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন বা send app to your email এ তে ক্লিক করতে পারেন।
ওখানে ক্লিক করলে আপনার অ্যাপ টী অ্যাপ geyser আপনার ইমেইল send kore দেবে ।
এবং ওখানে share এর অপশন থাকে আপনি যদি চান থাকলে ফেসবুক বা টুইটার এ অ্যাপ টি শেয়ার করতে পারবেন।
অ্যাপ কিভাবে বানায় ও পাবলিশ করে :-
আপনি যদি অ্যাপ টী গুগল প্লে স্টোর এ পাবলিশ করে চান তাহলে নিচে থাকা পাবলিশ বাটন এ ক্লিক করে নিতে পারেন।
ওখানে Goggle play store এ আপনার অ্যাপ টী পাবলিশ করার জন্য কিছু পয়সা ওদের কে দিতে হবে যাতে আপনি
আপনার অ্যাপ টী প্লে স্টোর এ পাবলিশ করে নিতে পারবেন।
আর যদি প্লে store থেকে লোকেরা অ্যাপ টি ইন্সটল করে তাহলে গুগল ad mob থেকে পয়সা আসা শুরু হবে।
অ্যাপ টি download ও পাবলিশ করার জন্য নিচের দেওয়া ভিডিও টা দেখে নিন। অ্যাপ টি পাবলিশ করার জন্য আপনাকে ২৫ ডলার পে করতে হবে।
আর যদি আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে অব্বসই আপনি ফ্রী তে ডাউনলোড করতে পারবেন।
শেষ কথা ও সারমর্ম
আশা করি অ্যাপ কিভাবে বানায় with out coding আপনারা জানতে পারে ছেন।
আপনারা চাইলে অ্যাপ টিকে পাবলিশ করতে পারেন কিন্তু পাবলিশ করতে গেলে অ্যাপ টী প্লে স্টোর কিছু পয়সা চার্জ কেটে নেয়।
কিন্তু অ্যাপ টী যদি আপনি নিজে ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে চান এবং বন্ধ দের share করতে চান তবে
নিঃসন্দেহে আপনি অ্যাপ টী share করতে পারেন।
আশাকরি আর্টিকেল টি পড়তে বা বুঝিতে আপনাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।
যদি কোনো অসুবিধা থাকে বা মিসটেক থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন আর আর্টিকেল টি যদি আপনার কাজে লাগে
তাহলে বন্ধু দের share করুন যাতে করে তারাও অ্যাপ বানানো শিখতে পারে।
আরটিকেল টি আমি সঠিক ও সহজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেচি তবুও যদি
আপনার এই আর্টিকেল ( অ্যাপ কিভাবে বানায়) এ কোন ভুল মনে হয় তাহলে অব্যসই কমেন্ট করে আপনার মূল্য বান মতমত টী প্রদান করুন,কারণ
🥰codexhui.com আপনার মতামত কে গুরুত্ব দেয়।😎