অন পেজ এসইও কী ? On page seo কিভাবে করতে হয়

অন পেজ এসইও কী ? প্রশ্ন টা খুবই জনপ্রিয় একজন নতুন ব্লগার এর কাছে।

আর সত্যিই যদি আপনি এই ব্লগিং বা ওয়েবসাইট ফিল্ড এ কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই এই বিষয় টি আপনাকে ভালো ভাবে একদম পাকা পোক্ত ভাবে রপ্ত করতে হবে।

তাই এই আর্টিকেল এ আমি আপনাদের অন পেজ এস-ই-ও সম্পর্কে পুরোটা সহজ ভাষায় এবং সঠিক ভাবে বোলবো।

বর্তমান দিনে অর্থাৎ এই 2022 সালে দাড়িয়ে একটা আর্টিকেল রেঙ্ক করানো খুবই কঠিন একটা বিষয়।

কারণ আপনারা নিশ্চই জানেন যে দিনে হাজারো আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়।

তাদের মধ্যে আপনার আর্টিক্যাল রেঙ্ক করানো খুবই কষ্ট সাধ্য একটি বিষয়।

অসম্ভব বিষয় তা কিন্তু না।আসলে আপনাকে seo ব্যাপারে এ একটা পাকাপোক্ত জ্ঞান করে নিতে হবে।

যার সাহায্যে আপনি আপনার প্রতিটা কন্টেন্ট  যেকোনো গুগল বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথম পাতায় আনতে পারবেন।

তাই এই আর্টিকেল এ আমি on page seo এর পুরোটাই অর্থাৎ সব খুঁটিনাটি বিষয় ও গুরুত্ব পূর্ণ ফ্যাক্টর গুলি আলোচনা করেছি।

Table of Contents

১.অন পেজ এসইও ( seo) কী ?

সহজ ও সংক্ষেপে বললে অন পেজ এস ই ও হচ্ছে এমন এক পদ্ধতি।যার মাধ্যমে কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর কোনো নির্দিষ্ট পাতা Rank করানোর মাধ্যমে প্রচুর ভিজিটর বা ট্রাফিক নিজের ওয়েবসাইট এ নিয়ে আসা।

বিশদে বললে,ব্লগের ভিতরের জিনিস গুলি অপটিমাইজেশন করা। যেসব খুঁটি নাটি বিষয় নতুন ব্লগাররা নজর দেয় না।

যেমন ওয়েবসাইটের স্পিড থেকে শুরু করে কীওয়ার্ড রিসার্চ,

কীওয়ার্ড এর সঠিক ব্যাবহার ,টেক্সট লেন্থ,ইমেজ অপটিমাইজেশন প্রভিতি।

আমি এই কথা টা বার বার বলী বন্ধুরা গুগল এর আপনার সাথে কোনরকমের শত্রুতা নেই ।

তারা চায় যে একটা ওয়েবসাইট বা ওয়েব পাতা তাদের নিয়মাবলী গুলি যেনো মানে।

তাহলেই তারা ফার্স্ট পাতায় ওই ব্লগ টা কে দেখাবে। বিভিন্ন ধরনের criteria আছে

যেগুলো আপনাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। দেখুন এটাতো 2009 বা 2010 না যে আপনি আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড কে বার বার ব্যাবহার করে।

ওভার অপটিমাইজ করে আর্টিকেল পাবলিশ করে দেবেন আর গুগল সেটাকে rank করে দেবে।

এটা 2022 এই সময় এ দাড়িয়ে দুইশো এর ও বেশী seo ফ্যাক্টর আছে যার মধ্যে পুরোটা কেউ মানতে পারেনা ।

পজিশন অনুযায়ী কিছু ফ্যাক্টর গুলি আপনাকে মানতে হবে। আর একটা কথা সব সময় মাথায় রাখবেন ।

অফ পেজ seo কে দুর্দান্ত ভাবে করে আপনি যদি অন-পেজ এসইও এর দিকে নজর না দেন।

তাহলে ব্যাপার টা এরকম দাড়ায় দোকান চকচকে কিন্তু দোকানে কিছুই নেই।হ্যাঁ অফ পেজ এসইও এর থেকে অন পেজ এসইও যথেষ্ট গুরুত্ব পূর্ণ।

১.১ এসইও(seo) কী ?

এসইও কী জানার আগে জেনে নিন seo এর ফুল ফর্ম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যার বাংলা মানে হচ্ছে সন্ধান যন্ত্র চিহ্নিত করন।

অর্থাৎ কিছু পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি সন্ধান যন্ত্রকে আপনার সাইট সম্পর্কে তথ্য দেন ও চিনহিত করতে সাহায্য করেন।

এর আগেও seo সম্পর্কে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন।

এই বারে আমি seo এর কিছু অংশ গুলির কথা তুলে ধরছি।

  • On পেজ এসইও
  • অফ পেজ seo
  • Technical seo
  • Mobile seo
  • Local seo
  • Content seo

এ গুলো হোল seo এর কিছু ভাগ। আর আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এদের মধ্যে সব থেকে ইমপরটেন্ট হোল on page seo এটি আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে।

২. Optimization content for search intent

অনুসন্ধানী কে বুঝুন এই বিষয় টা খুবই গুরত্বপূর্ণ।কথাটির মানে হচ্ছে লোকজন যা

সার্চ করছে সেটার উত্তর দিন। যেটার উত্তর সে অনুসন্ধান করছে শুধুমাত্র সেই উত্তরই দিন।

অর্থাৎ ধরুন কেউ সার্চ করেছে “ওয়ার্ড প্রেস এ আর্টিক্যাল কিভাবে পাবলিশ করবো”

এবং সে যখন আপনার হেডিং এ এই লেখা দেখে ক্লিক করলো।

আপনার আর্টিক্যাল টায় প্রবেশ করে সে দেখলো ব্লগার এ কিভাবে পোস্ট ছাড়া হবে সেই ব্যাপারে ।

তাহলে কি মনে হয় সেই ভিজিটর আর আপনার ব্লগ এ থাকবে কী মনে হয়,নিশ্চই সে বিরক্ত হয়ে আপনার সাইট থেকে বেরিয়ে যাবে।

তাই আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড এর প্রাসঙ্গিক জিনিস গুলি সেই আর্টিকেল এ বর্ণনা করুণ।

এবং আপনার ভিজিটর এর প্রশ্নের উত্তর সহজ ও সঠিক ভাবে দিন তাহলেই আপনার সাইটে আস্তে আস্তে ট্রাফিক আসা শুরু করবে।

৩. কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন কিভাবে করবেন?

কীওয়ার্ড শব্দটি খুব ছোট হলেও যদি কেউ কীওয়ার্ড এর ব্যাবহার টা সঠিক ভাবে করতে পারে। তাহলে সে 50 শতাংশ seo সেই খানেই করে ফেলবে।

কারণ google crawling করার সময় প্রথমে এই কীওয়ার্ড গুলিতেই নজর দেয়।তাই আমি

তোমাদের কীওয়ার্ড এর optimization বা কীওয়ার্ড কোথায় কিরকম বসাবে পুরোটা বিশদে আলোচনা করবো।

৩.১   সঠিক অন পেজ এস ইও এর জন্যে ফোকাস কীওয়ার্ড এর ব্যাবহার করুন 

প্রধান শব্দ হোল এমন এক জিনিস যার জন্য একজন কীওয়ার্ড অনুসন্ধানী হাজার হাজার টাকা ব্যায় করে ফেলে কারণ তার গুরুত্ব টা এতো বেশি।

ফোকাস কীওয়ার্ড এর সঠিক ব্যাবহার যদি কেউ শিখতে পারে তাহলে সে একজন seo মাস্টার হিসেবে মানান সই।

তাই এর ব্যাপারে জানা আপনাদের জন্যে খুব জরুরী।ফোকাস কীওয়ার্ড হোল সেই শব্দ যার মাধ্যমে আপনি আর্টিকেল rank করাবেন।

উদাহণস্বরূপ,এই আর্টিকেল এর ফোকাস বা মেন কীওয়ার্ড হচ্ছে “অন পেজ এস-ই-ও ” তাই এই ওয়ার্ড টা আমি সঠিক ভাবে প্লেসমেন্ট করেছি।

আপনারা একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন।

৩.২ অন পেজ এসইও তে কি ভাবে Focus keyword এর  ব্যাবহার করবো

  • প্রথমত আপনার tittle এ মেন কীওয়ার্ড টি দিতে হবে যার মাধ্যমে ভিউয়ার আপনার লিংক এ ক্লিক করে।এবং গুগল ও এটা সাজেস্ট করে।
  • দ্বিতীয়ত আপনার মুখ্য শব্দ টি আপনার আর্টিকেল এর প্রথম সেন্টেন্স এ ব্যাবহার করতে হবে।যদি একটু লক্ষ করেন তাহলে দেখতে পাবেন তাহলে আমি আমার মুখ্য কীওয়ার্ড প্রথম সেন্টেন্স এ দিয়েছি যা সার্চ ইঞ্জিন অ্টিমাইজেশান এর জন্য খুব ই জরুরি।
  • তৃতীয়ত আর্টিকেল এর মেটা ডেসক্রিপশন এ ব্যাবহার করতে হবে শব্দটি।
  • আপনার আর্টিকেল এর মিনিমাম দুটো হেডিং ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে।সেটা হতে পারে H1,H2 বা h3 আপনার ইচ্ছে মত কিন্তু খুব বেশি টা কিন্তু একদম না তাহলে খুব খারাপ প্রভাব পড়বে কন্টেন্ট এর উপর।
  • Slug এ ও ব্যাবহার করতে হবে ।
  • আপনার ইমেজের alt অপশন কীওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে ।

আমি আবারও বলছি বন্ধুরা ফোকাস keyprase কিন্তু বেশি বার ব্যাবহার করলে খুবই অসুবিধা হয়ে যাবে।

যদি আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার আর্টিকেল কতো গুলি ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যাবহার করা উচিত।

ও কতো গুলি ব্যাবহার হয়েছে।এছাড়া যারা ওয়ার্ড প্রেস ব্যাবহার করেননা তাদের জন্য কিছু টুল রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি  কতগুলি

প্রধান ওয়ার্ড ব্যাবহার করা উচিত বা কতো গুলি ফোকাস শব্দ আছে তা বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

Tool গুলির নাম ও লিংক আমি  নিচে  দিয়ে দিচ্ছি:-

এই টুলগুলো হচ্ছে সবচেয়ে জন প্রিয় কীওয়ার্ড ডেনসিটি চেক করার জন্য।তবুও যদি এগুলো না পছন্দ হয় তবে তবে গুগল এ সার্চ করবেন keyword  density checker লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন অনেক ওয়েবসাইট।

উপরের  দুটো পদ্ধতি যদি না পছন্দ হয় তাহলে একটা সোজা হিসেব  ব্যাবহার করতে পারেন।

প্রতি 1,000 ওয়ার্ড এ 3 টি করে focus keyphrase ব্যাবহার করবেন।এর থেকে ভালো keyphrase ডেনসিটি আর কিছু হবেনা।

এবং এটা একদম সঠিক পদ্ধতি।আরও একটি গাণিতিক পদ্ধতি আছে কিন্তু এই তিনটি পদ্ধতি যথেষ্ট।

৪. Image optimization

আপনার অনেকই হয়তো অনেকেই জানেন না যে গুগল ইমেজ এ কী লেখা আছে সেটা বুঝতে পারেনা।

এর জন্য কোনো কন্টেন্ট লেখার আগে ইমেজ দেওয়ার জন্য alt tag ব্যাবহার করতে হবে তার সঙ্গে সঙ্গে ডেসক্রিপশন লিখতে হবে।

অন-পেজ-এসইও-কী

ALT TEXT

একটা বিখ্যাত উক্তি আছে

একটা ছবী হাজার কথার সমতুল্য। 

আর seo optimization এর ক্ষেত্রে ঠিক একই আপনাকে আপনার কন্টেন্ট এ একটা হলেও ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে।

কারণ এটা এক সাধারণ সাইকোলজি যেটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।এক গাদা শব্দের মাঝে যখন কেউ একটা ইমেজ দেখে

তখন তার পড়ার চাহিদা টা  একটু  বেড়ে যায় আর এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।কিন্তু যেমন ইচ্ছে ইমেজ দিলে হবেনা।

কন্টেন্ট এর রিলেটেড পিকচার আপনাকে প্রদান করতে হবে। ইমেজ লাগানোর আগে আপনাকে কিছু জিনিস মাথায় রাখতেই হবে যেমন।

ইমেজ সাইজ – সাইট যদি খুব ভারী হয়ে যায় তাহলে কিন্তু খুব মুশকিল তাই আপনাদের ইমেজ কে reduce করে আপনার সাইটে লাগাতে হবে।আর ইমেজ টা 100 kb এর নিচে রাখার চেষ্টা করবেন।

ইমেজ কম্প্রেসার টুল –

Alt tag – alt tag ব্যাবহার করার সময় সেখেনা ফোকাস কীওয়ার্ড দিতে হবে।এটা একটা খুব ভালো টেকনিক ইমেজ rank করানোর জন্যে।

Description – ইমেজ মুখ্য কীওয়ার্ড দিয়ে কোনো লাভ নেই। ডেসক্রিপশন এ ইমেজ কী আছে কোন ব্যাপারে ইমেজ টি দেওয়া আছে তার সম্বন্ধে বর্ণনা করতে হবে।

Image format – গুগল কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফরম্যাট আছে সেগুলোই আপনাকে ব্যাবহার করতে হবে।যেমন কিছু ফরম্যাট ।

এর উদাহরণ হল jpg,png,gif, animated gif প্রভীতি। কিন্তু আপনারা চেষ্টা করবেন jpg format টা ব্যাবহার করার কারণ jpg fommat খুবই হালকা হয়।

৫. টাইটেল অপটিমাইজ

টাইটেল অপ্টিমাইজেশান এর ব্যাপারে বলার আগে একটা ছোট কথা বলতে চাই।

আপনিই একজন seo মাস্টার হওয়ার যোগ্য লোক।

কারণ শেখার ইচ্ছে না থাকলে আপনি এতদূর পড়বেন না।

তো টাইটেল অপটিমাইজ এর প্রধান দুটো পদ্ধতি আছে একটি আপনার tittle এ একটা ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে।যেমন আমি ব্যাবহার করেছি on page seo ।

দেখুন,আপনার কাজ হচ্ছে আপনার ভিজিটর দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কিন্তু গুগল কেওতো বোঝাতে হবে যে লোকজন যা সার্চ করেছে সেটা আপনার কন্টেন্ট এ আছে।

একটা জিনিস আপনাকে সব সময় মাথায় রাখতে হবে google bot গুলো আর আগের মত নেই।তারা প্রত্যেক দিন আপডেট হচ্ছে।

Bot গুলো সহজেই বুঝে যায় আপনার কন্টেন্ট এ কী আছে আর কী নেই তাই সাবধান।

দ্বিতীয় পদ্ধতি টাইটেল অপটিমাইজ এর এমন এক টা শিরোনাম তৈরি করুন যার মাধ্যমে লোক ওটা তে ক্লিক করে।

উদাহরণস্বরূপ বললে,আপনি infinix HoT 10 এর একটা রিভিউ লিখছেন আর আপনার প্রতিযোগী রাও সেই ব্যাপারে ভালো ভালো হেডিং লিখেছে।

কিন্তু আপনাকে তাদের থেকে একটু আলাদা তৈরি করতে হবে।

যেমন,infinix hot 10 বাজারের সবচেয়ে ফালতু মোবাইল

এই হেডিং দেখার পর আপনার ভিজিটর অবশ্যই এটাতে ক্লিক করবে।কারণটা হোল তারা গুগল এটাই সার্চ করেছে infinx hot 10 তার মানে তার এই মোবাইল টা কেনার ইচ্ছে আছে।

কিন্তু যখন সে আপনার এই হেডিং দেখবে,তখন সে রীতিমত মনে একটা প্রশ্ন নিয়ে আপনার  লিংক এ ক্লিক করবে।

এগুলো কিছু সাধারণ cycology যেগুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।আর আপনি যদি আমার মত বাঙালি হন তাহলেতো ইউটিউব এরকম হেডিং বা thambnail দেখেই থাকবেন।

৬. ইন্টারনাল লিংক ব্যাবহার করুন

ইন্টারনাল লিংক অর্থাৎ আপনার ব্লগের একটা আর্টিক্যাল এ অন্য একটা আর্টিকেল এর লিংক দেওয়া।

এটি খুবই কার্য কারি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন।ইন্টারনাল লিংক ব্যাবহার করার ফলে একটা ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট খুবই কম যায়।

গুগল এই পদ্ধতি টাকে সাপোর্ট করে।যদি সম্ভব হয় আপনার আর্টিকেল এর সম্পর্কিত আর একটি আর্টিকেল এর লিংক দিন।

ও এটাও জেনে রাখবেন যে এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল ব্যাক লিংক তৈরী হয় ও  একটা juice পাস তাই এটা খুব জরুরী ।

৭. এক্সটার্নাল লিংক

Exatarnal link অর্থাৎ বাইরের লিংক। আপনার কন্টেন্ট এ আপাতত একটি এক্সটার্নাল লিংক রাখতে হবে।এটা বাধ্যতা মূলক

আবার বেশি এক্সটার্নাল লিংক ব্যাবহার করলেও অসুবিধা আছে। আপনার আর্টিকেল এর প্রাসঙ্গিক কিছু লিংক দিন যার মাধ্যমে লোকেরা

সেই লিংক এ ক্লিক করে অন্য সাইটে redirect হতে পারে।যেমন আমি ব্যাবহার করেছি আপনাদের কিছু image compressor এর লিংক দিয়ে।আর যেমন খুশি লিংক দেওয়া যাবেনা তাতে আপনার ভিজিটর এর অসুবিধা হতে পারে।

৮. কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন

এতক্ষণ focus Keyword এর কথা অনেক বার  শুনলেন এবং আশাকরি বুঝতেও পেরেছেন।কিন্তু বর্তমানে প্রশ্ন টা হচ্ছে এই ফোকাস কীওয়ার্ড খুঁজে বার করবেন কিভাবে।

তাহলে বলে রাখি এটা খুঁজে  বের করার জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।আর এই কীওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য আমি একটা বিশদে আর্টিকেল লিখেছি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে পড়তে পারেন।

তবুও এই বিষয়ে এ হালকা আলোকপাত করছি যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

আর্টিক্যাল এর মেন কীওয়ার্ড সম্পর্কিত আরও কিছু কীওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। যাকে বলে LSI keyword যেমন আমার  আর্টিকেল এর Focus key phrase ‘ অন পেজ এস-ই-ও ‘ এর LSI  keyword হোল seo,focus keword, optimization আরও অনেক ওয়ার্ড।

বেশকিছু ফ্রী lsi জেনারেট সাইটের নাম হোল –

  • Lsi graph.com
  • Key search.com
  • Shout me loud.com

৯. Improve website loading time

ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড অপটিমাইজ করাটা খুবই দরকারি,কারণ আপনি একটা ভালো পোস্ট লিখলেন ছবির প্রয়োগ করলেন আর কীওয়ার্ড লেন্থ ও খুব ভালো করলেন।

কিন্তু কী হবে  ওই ভালো কন্টেন্ট লেখার যদি কেউ আপনার ওয়েবসাইট এ ঢুকে  আবার কিছুক্ষন পর বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যায়।

Goggle এর চোখে একটা ধির সাইট কোনদিন ই প্রাধান্য পায়না।যখন একটা সাইট খুলতে 8 থেকে 9 সেকেন্ড সময় নেয় তখন কেউ সেই সাইট টাকে পছন্দ করবেনা।

আসা করি আপনিও সেই ওয়েবসাইট পছন্দ করবেন না।

তাই ওয়েবসাইট এর মিনিমাম লোডিং স্পীড 4 second যেনো হয়।আর যদি 2.5 তাহলে তো খুবই ভালো হয় কারণ google সাজেস্ট করে একটা সাইট এর মিনিমাম স্পীড  যেনো 2.5 হয়।

যদি লোডিং স্পিড খারাপ হয় তাহলে ওটা অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে ও খুব প্রভাব ফেলবে।

তাই আমি এই আর্টিকেল এ কিছু কথা share করবো লোডিং স্পীড কমানোর জন্যে।

তো লোডিং স্পিড কমানোর জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে আপনার সাইট

এর লোডিং স্পিড কতো কিছু টুল এর নাম আমি share করছি যা থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন।

আমি সাজেস্ট করবো শুধু একটা সাইট না কম করে 3 থেকে 4 টা সাইট আপনি স্পীড চেক করুন তাহলে খুব ভালো হয়।

 ৯.১ ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কমানোর ট্রিকস

i.Seo friendly theme :- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে বিষয় টা সেটা হচ্ছে একটা ভালো ও হালকা থিম ব্যাবহার করা।আপনারা অনেকই হয়ত অনেক বেশি সাইজ এর থিম নিজের সাইট এ লাগিয়ে রেখেছেন।

কিন্তু এই সব সাইট দের গুগল কোন দিন rank করায় না। এটা মাথায় রাখবেন তাই কিছু,

স্পিডি এবং seo friendly থিম ব্যাবহার করুন

যেমন,
  •  জেনারেট প্রেস  প্রিমিয়াম থিম

এই থিমটি খুবই হালকা এবং সবাই এটাকে পছন্দ করে। আমার সব সাইট এ আমি এই থিম ব্যাবহার করি।

এটার ফ্রি ও প্রিমিয়াম থিম দুটি ভার্সন থাকে।যদি আপনি এই প্রিমিয়াম থিমটি ফ্রী তে নিতে চান তবে এই লিংক এ ক্লিক করুন।

  • ASTRA
  • ocean wp
  • presence
  • DIvI

ii.LCP SCORE কমানো।

Lcp কথাটির সম্পূর্ন অর্থ হোল Largest content ful paint এটি আপনার সাইটের সবচেয়ে বড় সাইজ এর ফাইল।

যেটা কোন ইমেজ হতে পারে বা আপনি যদি কোন ভারী থিম ব্যাবহার করেন সেটার layout ও হতে পারে।

আপনি উপরের দেওয়া  স্পিড চেকার  টুল গুলি তে দেখে নিতে পারেন কোনটা আপনার lcp স্কোর বাড়াচ্ছে। ফাইল টি যদি ইমেজ ফাইল হয় তাহলে তার সাইজ reduce করতে হবে।

আর যদি কোন প্রোগ্রামিং ফাইল হয় সেটাকেও সংশোধন করতে হবে।

iii. Use cdn network :- cdn network এ একটি সাইট যুক্ত করার জন্য cloudfare ব্যাবহার করুন।

Cdn network এর কাজ হোল কোন বাইরের দেশের ভিজিটর আপনার সাইটে তাড়া তাড়ি অ্যাকসেস করতে পারবে।

যা আপনাকে বাইরের দেশের ভিজিটর দের  ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

iv.use best hosting :- দেখুন আপনি হয়তো lcp স্কোর কমালেন ইমেজ সাইজ কমালেন কিন্তু তবুও আপনার সাইট এর লোডিং  স্পিড  কমছেনা।

তাহলে হয়তো আপনার হোস্টিং এর গন্ডগোল আছে। তাই হোষ্টিং কেনার সময় একটা ভালো দেখে হোস্টিং কিনতে হবে ।আমার মতে cloud,share, wordpress হোস্টিং কিনুন।

যাতে করে আপনার সাইটের স্পিড  বেশি হয়। সঠিক হোস্টিং এবং ডোমেইন কিভাবে কিনবেন তা নিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছি চাইলে হোম পেইজ এর লিংক এ ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন।

১০.  লোডিং স্পিড অপটিমাইজ প্লাগিন

আপনি যদি wordpress ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে একটা দুর্দান্ত প্লাগিন ইন্সটল করে নিতে পারেন।

প্লাগিন টির নাম হচ্ছে wp optimize যা আপনার ব্লগ স্পিড কে বাড়ানোয় খুবই হেল্প করবে।

"<yoastmark

এই প্লাগইন থেকে আপনি আপনার সাইটের পূর মিডিয়া ফাইল এর ইমেজ এর সাইজ নির্দিষ্ট পরিমাণ কমতে পারবেন।

এছাড়া ও data base,minify,chche পরিস্কার করার জন্যে ও সুযোগ পাবেন বিনা  মূল্যে।

১১. সহজ  ও Readable কন্টেন্ট লিখুন

i.  ২০২২ এর দাড়িয়ে  মানুষ একটু সহজ ভাবে কোনো কন্টেন্ট উপস্থাপন ই বেশি পছন্দ করে।

এতে একজন ইউজার এর পড়ার চাহিদাও বাড়ে এবং সে কোন কোন আর্টিকেল বিনা বিরক্ত হয়ে পড়তে থাকে তাই আপনার লেখা কন্টেন্ট সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

এর জন্য এক টানা সেন্টেন্স লিখে চলে গেলে হবেনা আপাতত 3 টি লাইনের পর একটা স্পেস দেওয়া উচিত।

যাতে আপনার লেখা সামগ্রী টা একটা high quality content রূপে পদর্সিত হয়। হ্যাঁ এটা সত্যি যে গুগল দীর্ঘ বাক্য যুক্ত আর্টিক্যাল গুলো কে লো কোয়ালিটি কন্টেন্ট রূপে চিনহিত করে।

যার কারণে সেই পোস্ট কোনদিন ই গুগল এর পাতায় rank করেনা।

ii. বিভিন্ন দৃষ্টি আকর্ষিত জিনিস গুলি ব্যাবহার করে ভিউয়ার এর মনযোগ বাড়ান। যেমন আপনি আপনার আর্টিক্যাল এ তে color,bold,italic এবং charcter গুলি ব্যাবহার করুন।

block quote এর ব্যাবহার করে কিছু গুরুত্বপূর্ন কথা share করুন।কিছু পার্সোনাল টিপস Share করুন যেমন “আমার মতে” “extra tips” প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক emoji ও ব্যাবহার করতে পারেন।

ii. Visitor এর সাথে interaction বাড়ান যাতে করে আর্টিক্যাল টি যে পড়বে মনে হয় যেনো আপনার সঙ্গে ই কথা হচ্ছে।

iii. কথায় আছে

 সম্মান টা আয়নার মত যেমন দেবেন তেমন ই ফিরে পাবেন ।

আর কথাটা সত্যি ইউজার এর কে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে যাতে আপনার জ্ঞান এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার character এর  ও একটা  ভালো ইমেজ মানুষের কাছে পৌঁছায় ।

iv. আর্টিক্যাল এ ছবির ব্যাবহার এর কথা এর আগে অনেক বার বলেছি তাই নতুন করে বলার আর কিছু বলার নেই

কিন্ত  একটা পিকচার কিন্তু ব্লগ পোস্ট এ অবশ্যই ব্যাবহার করে হবে।

১২. নিয়মিত ও ইউনিক কন্টেন্ট প্রদান করুন

আপনার নতুন সাইট কে যদি খুব তাড়া তাড়ি গ্রো করতে চান,তাহলে আপনাকে কন্টেন্ট প্রদান বেশি করে করতে হবে।

যেসব ব্লগ সাইটে মাসে একটা করে পোস্ট পাবলিশ হয় সেই সাইট কে গুগল এর প্রথম পাতায় আনা খুবই কষ্টের একটা ব্যাপার হয়ে উঠবে।

তাই চেষ্টা করুন সপ্তাহে আপাতত দুই টা করে পোস্ট যেনো পাবলিশ হয়। যেসব সাইট এর সময় সূচি ঠিক থাকবে এবং বেশি কন্টেন্ট থাকবে সেই

সাইট কে গুগল অ্যাডসেন্স এর aprove অনায়াসে ই করে দেয়।

সঠিক ও unich কন্টেন্ট লিখুন। কোন সাইট থেকে চুরি করা আর্টিক্যাল আপনি পাবলিশ করে কোনোদিন এটা ভাববেন না যে গুগল আপনার আর্টিকেল টকে rank করে দেবে ।

আপনার সাইটে অ্যাডসেন্স দিয়ে দেবে। এটা কোনদিন ও সম্ভব  না। এটা ২০২২ গুগল বট গুলো সহজেই বুঝে ফেলবে কোনটা   ইউনিক।

তাই সাবধান এরকম ভুল মোটেও করার চেষ্টা করবেন না।

সঠিক তথ্য দিন,আপনি যে ব্যাপারে হেডিং দিয়েছেন আপনার কন্টেন্ট ও যেনো সেই ব্যাপারেই লিখুন।

যেমন,আমি আমার আর্টিকেল এর হেডিং এ দিয়েছি“অন পেজ এসইও কী ?2022 এ সঠিক পদ্ধতি বাংলায়” 

আর আমি আমার পুরো কন্টেন্ট টি এই হেডিং এর প্রাসঙ্গিক জিনিস গুলিই তুলে ধরেছি আমার এই পোস্ট এ।

আর্টিক্যাল কোনদিন ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বা কোন স্ক্যামে জড়িত প্রাসঙ্গিক কিছু লিখবেন না।

এরকম অনেক সাইট আছে যারা নোংরা সাইট গুলো কে প্রমোট করে বা নোংরা কিছু পোষ্ট আপলোড করে। এই ভুল টা কোনদিন ও করবেনা যদি আপনি অ্যাডসেন্স থেকে পয়সা রোজগার করতে ইচ্ছুক।

আপনাদের আরও একটা কথা বলে রাখি ওসব সাইট কে কিছুদিন পর google থেকে remove করার ও সম্ভাবনা থাকে।

১৩. অন পেজ এসইও এর জন্য সেরা প্লাগিন ব্যাবহার করুন।

কী মনে হয় সেরা প্লাগিন টি খুব দামী। একদমে না এই প্লাগিন টি আমাদের সকলের কাছে প্রিয় একটি টুল। হ্যাঁ আমি youst seo এর কথা বলছি।

On page SEO এর জন্য এর চে সেরা প্লাগিন আর কি হতে পারে। Youst seo ফ্রি বলে কিন্তু খারাপ না। যথেষ্ট কাজের একটি প্লাগিন।

আর যদি আপনি এর প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে আরো ভাল হয়।

আশা করি এই টুল আপনার কাছে আছে যদি না থাকে তাহলে ইনস্টল করে এটার লাভ ওঠানো শুরু করুন ।

"<yoastmark

পোস্ট লেখার সময় youst seo এর প্রত্যেক টা পয়েন্ট ফলো করে চললে আপনি একটি হাই কোয়ালিটির কন্টেন্ট সহজেই লিখে ফেলতে পারবেন।

তাই পোস্ট লেখার সময় ইউষ্ট seo প্লাগিন টি ব্যাবহার  করুন।

১৪.share করে পোস্ট এর লিংক বাড়ান

শুধু কন্টেন্ট লিখলেই তার মান বৃদ্ধি পায়না তাই গুগল এর crawling এ পোস্ট টি আনার জন্য পোস্ট টিকে share করে তার লিংক এর ব্যাক লিংক এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

Share করার জন্য আপনি এই সাইট গুলো ব্যাবহার করতে পারেন,যেমন।

i.Socail media :- facebook, Twitter, LinkedIn

ii.প্রশ্ন উত্তর সাইট :- qura

iii.blog commenting

iv. medium এর মত বড় সাইট গুলি তে পোস্ট share করে নিতে পারবেন।

V. guest পোস্টিং ও করতে পারেন।

Vi. হাই অথরিটি সাইট থেকে ব্যাক লিংক নেওয়া।

আরো বিভিন্ন মাধ্যমে লিংক তৈরি করতে পারেন।আর্টিকেল এর ব্যাকলিংক এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আর্টিক্যাল রানক করানোর চান্স ও বৃদ্ধি পায়।তাই যত সম্ভব বেশি ব্যাক লিংক তৈরী করুন।

৫. অন পেজ এসইও কী ভাবে প্রয়োগ করবেন সার্চ কনসোলে আপনার আর্টিক্যাল জমা দেওয়ার মাধ্যমে

এত খন টি অন পেজ এসইও কী টা বুঝলেন কিন্তু আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার সাইট।

Google search console এর সাথে যুক্ত আছে তো যদি না থাকে তাহলে আপনাকে আপনার সাইট গুগল সার্চ কনসোলে এ ভেরিফাই করে নিন।

কারণ নাহলে গুগল আপনার সাইট কে ইনডেক্স ই করতে পারবেনা।ও আপনার আর্টিক্যাল rank হওয়ার চান্স কমে যাবে।

তাই seach console এ ভেরিফাই করে নিয়ে আপনার সাইট এর একটা সাইট ম্যাপ যোগ করুন console এ

এটা করা খুবই জরুরি তাই গুগল সার্চ কনসোলে অবশ্যই  ভেরিফাই  করেনিন ও আমার লেখা টেক নিক গুলি ফলো করুন সঠিক ভাবে ।

তাহলে আপনার ব্লগ কে গুগল এর প্রথম পাতায় rank করানো থেকে কেউ রুখতে পারবেনা ।

শেষ কথা

আশাকরি অন পেজ এসইও কী সেটা  আমি আপনাদের পাশে তুলে ধরতে পেরেছি ।

যদি আর্টিক্যাল টা পুরোটা আপনি পরে থাকেন তাহলে আপনি on page seo এর গুরুত্ব টা সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

যদি কোন ভুল থাকে বা এইবাপারে আরও কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন এবং পোস্ট টি শেয়ার করুন যাতে আর্টিক্যাল এর সুবিধা সবাই নিতে পারে।

আর একবার ধন্যবাদ পোস্ট টি মন যোগ দিয়ে পড়ার জন্যে। কিছু ভুল মনে হলে কমেন্ট করে ফীড ব্যাক জানান।

কারণ আপনাদের এক একটা কমেন্ট আমাদের কাছে খুব গুুত্বপূর্ণ।

Like this:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *